অনলাইন ডেস্ক::
কথায় বলে ‘যা রটে তার কিছু তো বটে’। চেলসিতে আসলে কি হয়েছে? খেলোয়াড় বিদ্রোহ? খবরটা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। ব্লুজ মিডফিল্ডার সেস ফ্যাব্রেগাসের নেতৃত্বে ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে নাকি একটি ‘মিনি বিদ্রোহ’ হয়ে গেছে। এমন অভিযোগ শুনে চেলসির ম্যানেজার হোসে মরিনহো দুঃখিত হন। তিনি তার ক্লাবে কোনো ধরণের বিদ্রোহের কথা উড়িয়ে দেন।
অভিযোগটা ফ্যাব্রেগাসের বিরুদ্ধেও বটে। তবে এই স্প্যানিশ খেলোয়াড়ও বলেছেন, অভিযোগটা মিথ্যে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা একের পর এক হারছে বটে। কিন্তু তাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেনি। এখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের ১৫তম স্থানে চেলসি। মৌসুমের প্রথম ১১ ম্যাচের ছয়টিতে হেরেছে তারা।
মরিনহো অভিযোগটা শুনলেন। তারপর বললেন, “এটা খুব দুঃখজনক একটি অভিযোগ। কারণ, আপনারা একজন বা তার বেশি খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগ করছেন। খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমি যদি আপনাকে অসৎ সাংবাদিক বলি তাহলে আপনি খুব আপসেট হবেন। হয়তো আইনি ব্যবস্থাও নেবেন।”
শনিবার লিভারপুলের বিপক্ষে লিগ ম্যাচ হেরেছে চেলসি। মরিনহো বলেছেন, খেলোয়াড়রা নিজেদের উজাড় করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ফল তাদের পক্ষে আসেনি। সবার মধ্যে ব্যক্তিগত ও পেশাদার সম্পর্কটা দারুণভাবে বজায় আছে।
বিবিসিতে রবিবার সংবাদ হয়েছে যে চেলসির প্রথম একাদশের একজন খেলোয়াড় বলেছেন, মরিনহোর জন্য জয়ের চেয়ে হারবেন তিনি। এমন কথা তোলা হলে ব্লুজদের অধিনায়ক জন টেরি বলেছেন, “আমার পুরো ক্যারিয়ারে শুনিনি কোনো খেলোয়াড় এমন কথা বলতে পারে। আমি নিশ্চিত করে বলছি খেলোয়াড়রা শতভাগই ম্যানেজারের সাথে আছে। আমরা একজোট আছি। শেষ চার বা পাঁচ ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সহায় হয়নি। আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।”
পাঠকের মতামত